প্রশ্ন-১ঃ মফস্বল ডায়েরি কি ? পিআরবি-২০৯ নিয়ম।

উত্তরঃ তদন্ত বা অন্য কোনো বিষয় সংক্রান্ত কাজে মফস্বলে নিয়োজিত থাকাকালে এএসআই তদূর্ধ্ব পদের পুলিশ অফিসার বিপি ফরম নং-১৮ মতে যে বহিতে তদন্ত সংক্রান্ত বা অন্য কোনো বিষয় লিপিবদ্ধ করে সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট প্রেরণ করেন তাকে মফস্বল ডায়েরি বলে। পিআরবি-২০৯ নিয়ম।

ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ আদালতে হাজিরায় বাদ্য করাইবার পরোয়ানা। ধারাঃ ৬৮ কাঃবিঃ-সমনের ফরমঃ

(১) আদালত কর্তৃক এই কার্যবিধির অধীন প্রত্যেক সমন লিখিতভাবে ও দুই প্রস্থে দিতে হইবে এবং উক্ত আদালতের বিচারক অথবা সুপ্রীপ কোর্ট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্দেশিত অপর কোন অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরকৃত হইবে।

সমন কে জারি করিবে-

(২) এইরূপ সমন পুলিশ দ্বারা অথবা সরকার কর্তৃক এই সম্পর্কে প্রণীত বিধিসাপেক্ষে সমনদানকারী আদালতের অফিসার দ্বারা অথবা অন্য সরকারী কর্মচারী দ্বারা জারি হইবে।

(৩) বাতিল।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত।

বাংলাদেশ দন্ড বিধি ১২১ ধারাঃ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা বা যুদ্ধ ঘোষনার ‍উদ্যোগ করা বা যুদ্ধ ঘোষনায় সহায়তা করা।

উত্তরঃ শাস্তিঃ মুত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাবাস ও জরিমানা।

বাংলাদেশ দন্ড বিধি ১২১-ক ধারাঃ ১২১ ধারা বলে দন্ডনীয় অপরাধসমূহ অনুষ্ঠানের ষড়যন্ত্র।

শান্তিঃ যাবজ্জীবন বা তাহা অপেক্ষা কম সময়ের জন্য কারাবাস, বা দশ বৎসর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা।

পিআরবি (তৃতীয় অধ্যায়)

নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ। ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিদর্শক, মামলার তদন্ত, সফর, অভিযোগ দাযের, কেস ডায়েরী, গেজেট।

পিআরবি নিয়ম-৩৫ঃ ইন্সপেক্টর-জেনারেলের ক্ষমতা।

পিআরবি নিয়ম-৩৬ঃ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব।

পিআরবি নিয়ম-৩৭ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্টগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব।

পিআরবি নিয়ম-৩৮ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্টগণের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ।

পিআরবি নিয়ম-৩৯ঃ অতিরিক্ত সুপারিন্টেন্ডেন্টগণের নিকট যেই সমস্ত দায়িত্ব ন্যস্ত করা যেতে পারে।

পিআরবি নিয়ম-৪০ঃ অতিরিক্ত সুপারিন্টেন্ডেন্টের নিকট ক্ষমতা অর্পনের ব্যাপারে বাধা নিষেধ।

পিআরবি নিয়ম-৪১ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্ট যে সমস্ত বিষয় ব্যক্তিগতভাবে সম্পন্ন করবেন।

পিআরবি  নিয়ম-৪২ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্ট যে সমস্ত ঘটনাসমূহের তদন্ত করবেন।

পিআরবি নিয়ম-৪৩ঃ দাঙ্গার পরে মামলার তদন্ত ও বিচার।

পিআরবি নিয়ম-৪৪ঃ অ্যাসিষ্ট্যান্ট ও ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্টগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব।

পিআরবি নিয়ম-৪৫ঃ অ্যাসিষ্ট্যান্ট ও ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্টদিগকে হেডকোয়ার্টারে নিয়োগের পদ্ধতি।

পিআরবি নিয়ম-৪৬ঃ সহকারী বা ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্টকে মহকুমা পুলিশ অফিসার হিসেবে নিয়োগের পদ্ধতি।

পিআরবি নিয়ম-৪৭ঃ পরিদর্শনের সংখ্যা।

পিআরবি নিয়ম-৪৮ঃ পরিদর্শনগুলো একটির পর আরেকটি না হওয়া উচিত।

পিআরবি নিয়ম-৪৯ঃ পরিদর্শনের সময়কাল।

পিআরবি নিয়ম-৫০ঃ সংখ্যাতত্ত্বের ব্যবহার।

পিআরবি নিয়ম-৫১ঃ পরিদর্শনকালে পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ।

পিআরবি নিয়ম-৫২ঃ পরিদর্শনের মন্তব্য সংক্ষিপ্ত ও সঠিক হতে হবে।

পিআরবি নিয়ম-৫৩ঃ গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ।

পিআরপি নিয়মসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

অন্যান্য বিভাগের সহিত সম্পর্ক সরকারের অন্যান্য বিভাগ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জনসাধারণের সহিত পুলিশের সম্পর্ক।

পিআরবি নিয়ম-১৩ঃ কমিশনারগণের কর্তৃত্ব।

পিআরবি নিয়ম-১৪- রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেল এবং কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারগণের মধ্যে সম্পর্ক।

পিআরবি নিয়ম-১৫ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সম্পর্ক।

পিআরবি নিয়ম-১৬ঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সহিত সুপারিন্টেন্ডেন্ট ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা করবেন।

পিআরবি নিয়ম-১৭ঃ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে পত্র বিনিময়।

পিআরবি নিয়ম-১৮ঃ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দে শ সুপারিন্টেন্ডেন্টের মারফত প্রদত্ত হবে।

পিআরবি নিয়ম-১৯ঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত তদারকি।

পিআরবি নিয়ম-২০ঃ পুলিশ অফিসারগণের বদলী এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

পিআরবি নিয়ম-২১ঃ সাব-অর্ডিনেট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সম্পর্ক।

পিআরবি নিয়ম-২২ঃ মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সম্পর্ক । (প্রয়োগ নেই)।

পিআরবি নিয়ম-২৩ঃ মহকুমা পুলিশ অফিসার ও মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে সম্পর্ক। (প্রয়োগ নেই)।

পিআরবি নিয়ম-২৪ঃ অভিযোগ বা প্রাথমিক তথ্যে পুলিশ অফিসারের মধ্যে সম্পর্কে কার্যবিধি।

পিআরবি নিয়ম-২৫ঃ নালিশ, এজাহার বা আদালতের মন্তব্য ব্যতীত অন্যভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

পিআরবি নিয়ম-২৬ঃ অভিযোগের বিচারকারী ম্যাজিস্ট্রেটগণের মন্তব্য।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইন(পঞ্চম অধ্যায়)

গ্রেফতার, পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার।

ধারা-৪৬ঃ গ্রেফতারের পদ্ধতি ও গ্রেফতারের বাধ্য প্রদান।

ধারা-৪৭ঃ যাকে গ্রেফতার করা হবে, তিনি যেই স্থানে প্রবেশ করেছেন, সেই স্থান তল্লাশি।

ধারা-৪৮ঃ যে স্থানে প্রবেশ করা যাচ্ছে না, সেই খানে প্রবেশের পদ্ধতি, দরজা জানালা ভেঙ্গে মহলে প্রবেশ।

ধারা-৪৯ঃ মুক্তিলাভের জন্য দরজা ও জানালা ভাঙ্গার ক্ষমতা।

ধারা-৫০ঃ প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ নিষেধ।

ধারা-৫১ঃ আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইন (চতুর্থ অধ্যায়)

সাধারণ ব্যবস্থা

ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও গ্রেফতারকারী সাহায্য তথ্য প্রধান।

ধারা-৪২ঃ জনসাধারণ যখন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে সাহায্য করবেন।

ধারা-৪৩ঃ পুলিশ অফিসার ব্যতীয় অন্য যেই ব্যক্তি পরোয়ানা কার্যকরী করছেন, তাকে সাহায্য দান।

ধারা-৪৪ঃ জনসাধারণ কতিপয় অপরাধ সম্পর্কে সংবাদ দিবেন।

ধারা-৪৫ঃ গ্রম-প্রধান, হিসাবনবিস, জমির মালিক ও অন্যান্য কতিপয় ব্যক্তি কতিপয় বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দিতে বাধ্য।

প্রশ্নঃ থ্রি বি সি এল ’এ’ এবং ফোর বি সি এল ‘এ’ বলতে কি বুঝেন? আলোচনা করুন?

উত্তরঃ থ্রি বি সি এল ‘এ’- যদি কোন ব্যক্তি কোন শিল্প এলাকায় সূর্য ডোবা হতে সূর্য উঠা পর্যন্ত নিম্নলিখিত অবস্থায় দেখা যায় তবে ঐ ব্যক্তি থ্রি বি সি এল ‘এ’ এর আওতাভুক্ত বলে গণ্য হবে।

(ক) মারাত্মক বা কোন অপরাধজনক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বা কোন অপরাধজনক কার্য সংঘটনের উদ্দেশ্যে ঘোরাফেরা করে।

(খ) যদি কোন ব্যক্তি কোন বাসগৃহ বা বিল্ডিং এর মধ্যে প্রবেশ করে এবং সেখানে প্রবেশের কোন উপযুক্ত জবাব দিতে না পারে।

(গ) যদি কোন সাজাপ্রা্প্ত চোর সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কোন নৌকা, যানবাহন, জাহাজ, বাজার বা রাস্তায় ঘোরাফেরা করে এবং সে যদি কোন উপযুক্ত কৈফিয়ত দিতে না পারে।

(ঘ) যদি কারও নিকট কোন ঘর ভাঙ্গার যন্ত্র পাওয়া যায় তাহলে তাকে যে কোন পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানা গ্রেফতার করতে পারেন। থ্রি বি সি এল ‘এ’ অপরাধীর ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।

Bengal Criminal Law Amendment Act-3

ফোর বি সি এল ‘এ’- যদি কোন শিল্প এলাকায় কোন ব্যক্তির নিকট কোন শিল্পজাত দ্রব্য পাওয়া যায় এবং যদি এরূপ বিশ্বাস করার কারন থাকে যে উক্ত দ্রব্য চোরাই বা প্রতারণামূলকভাবে গ্রহণ করেছে বা সেই ব্যক্তি যদি দ্রব্যের কোন সঠিক জবাব দিতে না পারে তাহলে তাকে ১০০ টাকা জরিমানা বা ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড করা যাবে।

Bengal Criminal Law Amendment Act-4

বাংলাদেশ দন্ডবিধি (পঞ্চম পরিচ্ছেদ) অপরাধে সহায়তা সম্পর্কিত।

বাংলাদেশ দন্ডবিধি

(পঞ্চম পরিচ্ছেদ)

অপরাধে সহায়তা সম্পর্কিত।

ধারা-১০৭ঃ প্ররোচনার সংজ্ঞা। যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে অপরাধ সংঘটনের জন্য সহায়তা করে, পরামর্শ দেয় বা উস্কানি দেয় কিংবা য়ড়যন্ত্র করে বা কার্যবিরতির দ্বারা অপরাধ সংঘটনের পথ সুগাম করে দেয় তবে তাকে প্ররোচনা বলে।

ধারা-১০৮ঃ দুস্কর্মে সহায়তাকারী অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।

ধারা-১০৮-কঃ বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বহিঃরস্থ অপরাধসমূহের সহায়তা দান।

ধারা-১০৯ঃ দুস্কর্মে সহায়তার ফলে সহায়তাকৃত কার্যটি সম্পাদিত হবার ক্ষেত্রে এবং উহার শাস্তি বিধানার্থে কোন স্পস্ট বিধান না থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত অপরাধের জন্য ব্যবস্থিত শাস্তি প্রদান করা যাবে।

ধারা-১১০ঃ সহায়তাকৃত ব্যক্তি সহায়তাকারী অভিপ্রায় হতে কার্য করার ভিন্ন অভিপ্রায়ে কার্য করার ক্ষেত্রে সহায়তার শাস্তি।

ধারা-১১১ঃ সহায়তাকৃত কার্য হতে ভিন্ন কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে সহায়তাকারীর দায়িত্ব।

ধারা-১১২ঃ যে ক্ষেত্রে সহায়তাকারী সহায়তাকৃত কার্য ও সম্পাদিত কার্যের জন্য ক্রমপুঞ্জিত শাস্তির জন্য দায়ী হয়।

ধারা-১১২ঃ সাহায্যকৃত কার্যের কারণে দুস্কর্মে সহায়তাকারী কর্তৃক অভিপ্রেত পরিণতি হতে ভিন্ন পরিণতির ক্ষেত্রে দুস্কর্মে সহায়তাকারীর দায়িত্ব।

ধারা-১১৪ঃ অপরাধ সংঘটনকালে সহায়তাকারী উপস্থিত থাকলে সে ব্যক্তি অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে।

ধারা-১১৫ঃ মৃত্যু দন্ড বা কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে সহায়তা করলে অপরাধ অনুষ্ঠিত না হলে বা অনুষ্ঠিত হলে যথাক্রমে শাস্তি – সাত থেকে চৌদ্দ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড তদুপরি অর্থদন্ড।

ধারা-১১৬ঃ কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে সহায়তাকরণ। অপরাধটি অনুষ্ঠিত না হবার ক্ষেত্রে শাস্তি-উক্ত অপরাধের জন্য ব্যবস্থিত শাস্তির এক চতুর্থাংশ অথবা অপরাধের জন্য ব্যবস্থিত অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। অপরাধী সরকারী কর্মচারী হলে শাস্তি হবে অপরাধের জন্য নির্ধরিত শাস্তির অর্ধেক অথবা ব্যবস্থিত অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।

ধারা-১১৭ঃ জনসাধাণ বা দশের অধিক ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধ অনুষ্ঠানে সহায়তাকরণের শাস্তি-তিন বছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীঢ হবেন।

ধারা-১১৮ঃ মৃত্যু বা যাবজ্জীবন কারা দন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র গোপন করণের শাস্তি-অপরাধ অনুষ্ঠিত হলে শাস্তি সাত বছর এবং অপরাধ অনুষ্ঠিত না হলে শাস্তির বিধান তিন বছর কারাদন্ড তদুপরি উভয় ক্ষেত্রে অর্থ দন্ডের বিধান রয়েছে।

ধারা-১১৯ঃ সরকারী কর্মচারী কর্তৃক এমন অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র গোপনকরণ যা নিবারণ করা তার কর্তব্য ছিল। শাস্তি অপরাধ অনুষ্ঠিত হবার ক্ষেত্রে অপরাধের জন্য ব্যবস্থিত শাস্তির অর্ধেক কিংবা ব্যবস্থিত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। অপরাধটি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন দন্ডিত হলে শাস্তির মেয়াদ দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে। অপরাধটি অনুষ্ঠিত না হবার ক্ষেত্রে শাস্তি ব্যবস্থিত দন্ডের এক চতুর্থাংশ অথবা ব্যবস্থিত অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ড।

ধারা-১২০ঃ কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের গোপনকরণ।

পঞ্চম -ক পরিচ্ছেদ।

অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র।

ধারা-১২০-কঃ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা।

ধারা-১২০-খঃ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি।

বাংলাদেশ দন্ডবিধি(গর্ভপাত করান, অজাত সন্তানসমূহের ক্ষতিসাধন, শিশুসমূহের পরিত্যাগ ও জন্ম গোপন সম্পর্কিত)

ধারা-৩১২ঃ নারীর গর্ভপাত করণের শাস্তি-তিন হতে সাত বছর র্পযন্ত কারাদন্ড বা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

ধারা-৩১৩ঃ নারীর সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত করনের শাস্তি-যাবজ্জীবন বা দশ বছর কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩১৪ঃ গর্ভপাতকরানোর উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কাজের ফলে নারীর মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি যাবজ্জীবন বা দশ বছর কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩১৫ঃ শিশুর জীবন্ত ভুমিষ্ঠ হওয়ায় বাধাদান করার বা জন্মের  পর উহার মৃত্যু ঘটাবার  উদ্দেশ্যে কৃতকার্যের শাস্তি- দশ বছর কারাদন্ড বা অর্থ দন্ড অথবা উভয়  দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩১৬ঃ দণ্ডার্হ নরহত্যা বলে গণ্য কার্য্যের সাহায্যে জীবন্ত অজাত শিশুর মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি- দশ বছর কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩১৭ঃ পিতা বা মাতা অথবা তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক বার বছরের কম বয়স্ক শিশুর মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি-দশ বছর কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩১৮ঃ মৃত দেহের গুপ্ত ব্যবস্থাপনার সাহায্যে জন্ম গোপনকরণের শাস্তি-দুই বছর কারাদন্ড বা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন ।

ধারা-৩১৯ঃ আঘাতের সংজ্ঞা-যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দৈহিক যন্ত্রনা ব্যাধি বা অপরাগতা ঘটায় তবে তাকে আঘাত বলা হয়।

ধারা-৩২০ঃ গুরুতর আঘাত।

ধারা-৩২১ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দান করা।

ধারা- ৩২২ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দানকরা।

ধারা- ৩২৩ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দানের শাস্তি- এক বছর কারাদন্ড বা একহাজার টাকা জরিমানা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩২৪ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্নক অস্ত্র বা অন্য মাধ্যমের সাহায্যে আঘাত দেয়ার শাস্তি-তিন বছর কারাদন্ড বা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩২৫ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত প্রদানের  শাস্তি-সাত বছর পর্যন্ত কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।

ধারা-৩২৬ঃ স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্নক অস্ত্র বা মাধ্যমের সাহায্যে গুরুতর আঘাতদানের শাস্তি-দশ বছর কারাদন্ড তদুপরি অর্থ দন্ডের বিধান রয়েছে।